">
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলল পৈল গ্রামে সনজব আলী খুন হয়নি হার্ট ব্লকে মৃত্যু
সনজব আলীর মা -খুদেজা খাতুন জানান আমার ছেলেকে কেউ মারেনি।।
হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নামা পৈল গ্রামে সনজব আলীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলল সনজব আলী খুন হয়নি হার্ট ব্লকে মৃত্যু। সনজব আলীর মা খুদেজা খাতুন ২০২১ ইং সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সোসাল মিডিযায় এক ভিডিও বার্তায় বলেন আমার ছেলে সনজব আলীকে কেউ মারে নি, সে শ্বাসকষ্ট ও হার্টের রোগী ছিল। মামলার এক বছর পর ২৭/৩/২০২২ ইং তারিখে তিনজন ডাক্তারের স্বাক্ষরিত ঢাকা মহাখালী থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে।হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাঃ আর এম ও হবিগঞ্জ সদর থানার মামলার দায়িত্ব প্র্রাপ্ত অফিসার কে এ রিপোর্ট প্রদান করেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় সনজব আলি পূর্বে থেকেই শ্বাসকষ্ট আলসার এর কারন থেকেই হার্ট ব্লকে মৃত্যু বরন করেছে।৩০/৬/২০২২ ইং তারিখে চট্টগ্রাম থেকে আশা ভিসারা রিপোর্টে ও কোন কিছু পাওযা যায় নি। এদিকে মামলার আয়ো সদর থানার ওয়াহেদ গাজী মামলার আসামির বাড়িতে হুমকি দমকি দিচ্ছে। গত ২১/৯/২০২১ইং তারিখে একই গ্রামের সফিক এর হুকুমে দুলাল, সুজন, মিলন, সহ কয়েকজন লোক পূর্ব বিরোধ এর জের ধরে সন্ধায় তৈয়ব আলীর সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যাযে সংঘর্ষ ঘটে। এসময় তিনজন রক্তাক্ত জখম ও আহত হয়। পরে আহত তৈয়ব আলী (৪৫), মিনারা খাতুন (৩৫) নাজমা খাতুন (৩৬) কে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত প্রায় ৯-৩০ মিঃ সনজব আলী, সফিক মিযা,দুলাল সহ কয়েকজন হাসপাতালে এসে উত্তেজিত হলে ৯৯৯ কল দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে সদর থানার একদল পুলিশ।এ সসয় ঘটনাস্হল থেকে সফিক মিয়া,দুলাল মিয়া, কুতুব আলী,সহ ৪ জন কে আটক করা হয়।সনজব আলী সহ কয়েকজন কৌশলে হাসপাতাল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরে তার শশুরবাড়ি সিকান্দরপুর চলে যায়। পরদিন সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ শহরের পি টি আই রোড তার আত্নীয় আম্বিয়া খাতুনের বাসা থেকে তার বোন জামাই বানিয়াচং উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মর্তুজ আলী, ও সিকন্দরপুর গ্রামের সমন্ধীক আলমগীর, জাহাঙ্গীর, জয়পর,সহ কয়েকজন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে হাসপাতালে আসার পূর্বই মারা গেছে বলে জানিয়ে দেন। এবং হাসপাতালের খাতায় ব্রড ডেট লিখা হয়। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি। অপর একটি সূত্র জানায়, সনজব আলী ঘটনার পর তার শশুড়ালয় চলে যায়। আর সেখান থেকে মর্তুজ আলীসহ উল্লেখিতরা পরের দিন সকাল ১১টায় মৃত অবস্তায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল নিয়ে আসে।নিহতের মা খুদেজা খাতুন জানান, সনজব আলীর শশুড়বাড়ি সিকান্দরপুর থেকে লাশ আমার ছেলে বাড়িতে আসে।
আইনের লোকজনের প্রতি অনুরোধ আমার ছেলে সনজব আলীর সাথে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নি।মর্তুজ আলীও তার শশুরবাড়ির সমদ্বিক আলমগীর, জাহাঙ্গীর, জয়পর কে জিঙ্গাসাবাদ করলে সনজব আলীর মৃতের সঠিক ঘটনা বেড়িয়ে আসতে পারে।
পরে ময়নাতদন্তের শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাপন সম্পন্ন করা হয়।
Leave a Reply