চুনারুঘাটে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম
সংবাদদাতাঃ চুনারুঘাটের উত্তর বড়াইলে মোটা অংকের যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সামছুন্নাহার লিপি(১৮) কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আফজল হোসেন (২৫ ) বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ইছাকুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা গুরুতর আহত লিপিকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। লিপির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর বড়াইল গ্রামের বর্তামান বাসিন্দা সফিক মিয়ার ছেলে আফজল হোসেনের ছেলে ৪ মাস আগে সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের আব্দুল মন্নানের মেয়ে সামছুন্নাহার লিপির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই আফজল হোসেন তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতো। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা ও প্রতিবেশীরা সালিশ বিচারে আফজলকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন । কিন্তু আফজল যৌতুকের দাবিতে ফের লিপিকে মারধর করে বাপের বাড়ি পাটিয়ে দেয়। গতকাল শনিবার আফজাল তার দলবল নিয়ে ইছাকুটা গিয়ে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চায়। এতে আসতে রাজি হয়নি লিপি। এসময় আফজলের এলোপাতাড়ি দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে আফজল। লিপির ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এলে পালিয়ে যায় স্বামী আফজল । লিপির খালা সাহেনা জানান, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক দায়ের কোপের দাগ রয়েছে। লিপির ডান হাত কেটে ৭ টি সেলাই লাগে এবং মাথায় ৩ টি সেলাই লাগে। স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। লিপির মা জানায়, অনেক কষ্ট করে আমার মেয়েকে চার লাখ টাকা ঋন করে বিগত ৪ মাস পুর্বে আফজলের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ের কিছুদিন পর আফজলের আসল চেহারা প্রকাশ পায়। আফজল বিয়ের ১ মাস পর আমার মেয়েকে পিটিয়ে তার বাড়ি থেকে টাকার জন্য তাড়িয়ে দেয়। সে গতকাল আমাদের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাড়িতে এসে হামলা চলায়। আফজল নরপতি গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে সে উত্তর বড়াইলে বসবাস করছে।
Leave a Reply