">
অনলাইন ডেস্কঃ বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। দুশ্চিন্তায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন। গত ১৭ জুন শুক্রবার বিকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর পানি বেড়ে গত ২১ জুন মঙ্গলবার যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ৬৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তারপর বুধবার দুপুর পর্যন্ত পানি স্থিতিশীল ছিল।
বুধবার বিকাল ৩টার পর হতে পানি কমতে শুরু করে। কয়েকদিন পানি কমে ২৮ জুন পর্যন্ত যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৬ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর ২৯ জুন সকাল হতে পানি আবারো বাড়তে থাকে। সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১৬.৫২ মিটার যা বিপদসীমার ২৮ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বাড়তে শুরু করায় আবারো দুশ্চিন্তায় পরেছে উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। গত কয়েকদিন আগে তারা বাড়িঘরের যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পানি নেমে যাওয়ায় তারা আবার জিনিসপত্র নিয়ে ঘরে এসেছিলেন। পানি বেরে যাওয়ার খবরে তারা আবারও দুশ্চিন্তায় পরেছেন। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে পুনরায় আবারো ঘরের জিনিসপত্র এবং গবাদিপশু নিয়ে উঁচু কোথাও যেতে হবে।
উপজেলার বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মজনু শাহ এর স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন, হামার বাড়িঘরত পানি উঠে ডুবে গেছিল। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেঁড়িবাধত আশ্রয় নিয়েছিলাম। টিউবওয়েল এবং বাথরুম পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। পানি নেমে যাওয়ায় আবারও বাড়িতে উঠেছিলাম। আবারো পানি বাড়িতেছে। আবারও জিনিসপত্র গরু ছাগল নিয়ে উচু জায়গায় যেতে হবে।
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৬.৫২ মিটার যা বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বাঙালী নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৪.৪৯ মিটার যা বিপদসীমার ১৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Leave a Reply